ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

ফুলছড়ির খুটাখালী ও মেধাকচ্ছপিয়া বনবিটের জায়গায় অবৈধ বসতি, নিরব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা

চকরিয়া অফিস :::

12মোহনী শক্তির অপর নাম অর্থ বা টাকা। তাই সরকার কর্তৃক ঘোষিত ন্যাশনাল পার্কের নির্দিষ্ট এলাকায় থাকা সামাজিক বনায়নের প্রায় আড়াই হেক্টর জায়গা দখলে নিয়ে প্লট আকারে বিক্রি করে  মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সরকার দলীয় নামের খেতাব অর্জনকারী প্রভাবশালী এক বনভূমি দখল চক্র।

কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন  ফুলছড়ি রেঞ্জের অধীন খুটাখালী মেধা কচ্ছপিয়া  বনবিট এলাকায় নতুন প্রক্রিয়া চলছে বনভূমি যজ্ঞের মত ন্যাক্কার জনক ঘটনার অভিযোগ উঠেছে দখলদারদের বিরুদ্ধে ।

সূত্রে জানা গেছে, মেধাকচ্ছপিয়া বন বিট কর্মকর্তা মো: জাকারিয়া ও বন হেডম্যান মকতুল হোসেনের যোগসাজশে সরকার দলীয় প্রভাবশালী নেতা পাগলির বিল গ্রামের মৃত আহমদ ছোবহানের পুত্র জিল্লুর রহমান ন্যাশনাল পার্কের  ভিতরে থাকা সামাজিক বনায়ন দখল করে  তা প্লট আকারে বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।  বর্তমানে ওই এলাকায়  কয়েকটি নতুন বসতঘর নির্মাণে করলেও বনবিভাগের কোন মাথা ব্যথা নেই।

এলাকার সচেতন মহল জানান, তিনি গাঁয়ের জোর ও দলীয় দাপটে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের চোখে ধুলা দিয়ে ভুমিদস্যুরা বনভূমি দখল করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।  এলাকার সচেতন কোন ব্যক্তি এ বিষয়ে কোনদিন তার সামনা-সামনি  প্রতিবাদ করতে সাহাস পাচ্ছেনা।  তারা আরো জানান, প্রতিবাদ করলে মামলার ভয় ও বন বিভাগের কোন ভুমিকা না থাকায় এ দখলবাজ চক্রের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে সরকারী বনভুমি। । তারা  আরো জানায়, হেডম্যান , বনবিট কর্মকর্তা , ফুলছড়ি রেঞ্জ  কর্মকর্তার কাছে মোহনী কালো টাকা ভাগ চলে যাওয়ার কারণে দখলদারের ভুমিকা বেশী। এ চক্রের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য  সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তার আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।

পাঠকের মতামত: